ক্রিয়া ডেস্ক নিউজ:
বগুড়া শহিদ চাঁন্দু স্টেডিয়াম সংলগ্ন ফুটবল মাঠের নাম ‘আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল স্টেডিয়াম’ নামকরণ করে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) তা অপসারণ করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কে বা কারা স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করেছিল। বগুড়া জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও বগুড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. রেজাউল করিম বাদশা ও জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনার নেতৃত্বে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার সময় সাইনবোর্ড টি সরিয়ে ফেলেছেন।
সাইনবোর্ড সরিয়ে রেজাউল করিম বাদশা বলেন, বিএনপি কখনও লুটপাট, চাঁদাবাজ, দখলবাজের রাজনীতি বিশ্বাস করে না। বিএনপি জনগণের দল, বিএনপি সব সময় দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে। লুটপাট, চাঁদাবাজ, দখলবাজের সাথে কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাইনবোর্ডটি বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর তার নির্দেশে তা অপসারণ করা হলো। তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সেই আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতনের পর খান্দারে স্টেডিয়ামের গেটে কে বা কারা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর নামে ফুটবল স্টেডিয়ামের একটি প্যানা টানিয়ে রাখে। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সেটি অপসারণ করা হলো।
তিনি বলেন, বিএনপি সুষম উন্নয়নে বিশ্বাসী। সেই কারণেই বিএনপি’র শাসনামলে বগুড়াসহ সারাদেশে সমানভাবে উন্নয়ন হয়েছে। বিগত সময়ে বিএনপি ক্ষমতার বাইরে থাকায় বগুড়ায় দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন হয়নি। শুধু তাই নয়, বিএনপি’র সময়ে বগুড়ায় আন্তর্জাতিক মানের শহিদ চাঁন্দু স্টেডিয়াম করা হয়েছে। সেই সময়ে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষ আন্তর্জাতিক মানের খেলা উপভোগ করেছেন। তারপর থেকে আর সেই স্টেডিয়ামে কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ তাহাউদ্দিন নাহিন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক সরকার মুকুল, সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী প্রমুখ।