স্পোর্টস ডেস্ক :
স্পেনের সোনালি প্রজন্মের অন্যতম কুশীলব ইনিয়েস্তা-জাভি। এই প্রজন্মের অন্যরা হলেন- পুয়োল, ক্যাসিয়াস, রামোস, বুসকেটস। ২০১০ সালে স্পেনকে প্রথম বিশ্বকাপ উপহার দেন তারাই। বার্সায় টিকি-টাকা যুগের সূচনাও হয় জাভি-ইনিয়েস্তার সময়েই। তাদের কত কত অজর্ন। রাউল স্পেনের ইতিহাসেই অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড। ২০০৬ সালে জাতীয় দলকে বিদায় বলা এই তারকা এখনও দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা (১০২ ম্যাচে ৪৪ গোল), ৫৯ গোল নিয়ে সবার উপরে ভিয়া। তবুও এদের কেউই ব্যালন ডি’অরটা হাতে নিয়ে দেখতে পারেননি।
ব্যালন ডি’অর না পেলেও ১৯৫৭ ও ১৯৫৮-তে ডি স্টেফানো, ১৯৬০-এ সুয়ারেজ জেতার পর স্পেনের অনেকেই মনোনয়ন পেয়েছেন। কেউ কেউ জায়গা করে নিয়েছেন সেরা তিনেও। সুয়ারেজ প্রথম হওয়ার পরের বছরই রানার্সআপ হন, ১৯৬৪-তেও। ১৯৬৬ থেকে ১৯৮৫ পর্যন্ত লম্বা একটা সময় স্পেনের কেউ সেরা তিনে উঠতে পারেননি। ১৯৬৫-তে সুয়ারেজ ও ১৯৮৬-তে এমিলিও বুট্রাগুনে সেরা তিনে জায়গা করে গ্যাপ কমান। রিয়াল মাদ্রিদের পারফরম্যান্স দিয়ে ২০০১ সালে দ্বিতীয় হন রাউল।
সোনালি যুগের জাভি-ইনিয়েস্তারা ‘মার’ খেয়ে যান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো-লিওনেল মেসির কাছে। ২০০৯ সালে এই যুগলের আধিপত্য শুরু হলে স্পেনের তারকাদের সর্বোচ্চ দুই কিংবা তিন নম্বর পজিশন নিয়েই খুশি থাকতে হয়। ২০১০ সালে জাভি দ্বিতীয় ও ইনিয়েস্তা তৃতীয় হন, টানা দ্বিতীয় বারের মতো ব্যালন জিতেন মেসি। সবশেষ ২০১২ সালে ইনিয়েস্তা তিনে জায়গা পেয়েছিলেন।
জাভি-ইনিয়েস্তারা যা পারেননি, রদ্রিকে নিয়ে সেই ব্যালন ডি’অর জেতার স্বপ্ন দেখতে পারেন স্পেনের সমর্থকরা। ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর ঘোষিত ৩০ জনের তালিকায় জায়গা পাওয়া রদ্রি গত মৌসুমে কী করেননি! জাতীয় দলের হয়ে ইউরো জিতেছেন, হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে জিতেছেন প্রিমিয়ার লিগ, উয়েফা সুপার কাপ ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। মৌসুমজুড়ে মাঝমাঠে সরব উপস্থিতি ছিল তার।
রদ্রি বলছেন, ব্যালন ডি’অর জিততে পারলেই ভালোই লাগবে তার। ইএসপিএন ফুটবলকে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই। এটা আমার জন্য একটা স্বপ্ন। অনেকে বলছে, এটা কীভাবে সম্ভব, জাভি, ইনিয়েস্তা তো জিতেনি। আমারও সহমত। তারা একটা যুগকে আলাদা করে দিয়েছেন, ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা। কিন্তু তারা এমন একটা যুগে ছিলেন, যেখানে ছিল রোনালদো-মেসি যুগল।’