গাজায় ‘দীর্ঘ যুদ্ধের’ জন্যে প্রস্তুত হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

গাজায় ‘দীর্ঘ যুদ্ধের’ জন্যে হামাস প্রস্তুত। সংগঠনটির প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার সোমবার এ কথা বলেছেন। যদিও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট গত সপ্তাহে বলেছিলেন, গাজায় সামরিক সংগঠন হিসেবে হামাসের ‘আর অস্তিত্ব নেই’।

সিনওয়ার বলেছেন, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গ্রুপ হামাসের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি ইরান-সমর্থিত আঞ্চলিক মিত্রদের সমর্থনে গাজায় প্রায় এক বছর ধরে যুদ্ধ করে আসছে।

সিনওয়ার হামাস গ্রুপের ইয়েমেনি মিত্রদের কাছে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, ‘আমরা নিজেদেরকে দীর্ঘস্থায়ী এক যুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করেছি।’তিনি গত মাসে নিহত হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হন।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে। সেখানকার চিকিৎসক ও উদ্ধারকর্মীরা সোমবার জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে দুই ডজন লোক নিহত হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

লেবাননে হিজবুল্লাহর সাথে লড়াই বন্ধের সম্ভাবনা ম্লান হয়ে আসছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের এমন সতর্ক বাণী উচ্চারণের পর সর্বশেষ এসব হামলা চালানো হয়। এতে আবারও বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘর্ষের আশঙ্কা  দেখা দিয়েছে।

গাজা যুদ্ধের ১১ মাসেরও বেশি সময় পরে ইয়েমেনের হুতিদের কাছে লেখা এক চিঠিতে সিনওয়ার হুমকি দিয়ে বলেছেন, গাজা এবং এই অঞ্চলের অন্যত্র ইরানের সাথে সম্পৃক্ত গ্রুপগুলো ‘শত্রু পক্ষের রাজনৈতিক ইচ্ছা ভেঙ্গে দেবে।

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির ব্যাপারে কয়েক মাসের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টার পর যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের এবং হামাসের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করার জন্য একটি নতুন প্রস্তাব নিয়ে ‘দ্রুতগতিতে’ কাজ করছে।

মিলার বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এই সপ্তাহে সেখানে সফরে গিয়ে মিসরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করবেন। মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ব্লিঙ্কেন ‘গাজায় একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর চলমান প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন যা সকল জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত, ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্ভোগ লাঘব এবং বৃহত্তর আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *