আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ২২০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার এক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ নিয়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৪২,২৮৯ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এছাড়াও ইসরাইলি হামলায় আহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৯৮,৬৮৪ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি বাহিনী গাজায় সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করেছে। যার ফলে উপত্যকাজুড়ে ২০ লাখের বেশি মানুষের জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য এবং বিশুদ্ধ পানির অভাবে চরম সংকটে পড়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরাইল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলি হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ গাজার হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছাড়া ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
মূলত ইসরাইলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরাইলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সবাই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
সেই সঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরাইল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। সূত্র: মেহের নিউজ ও আনাদোলু