স্পোর্টস ডেস্ক :
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ নতুন মৌসুমে হারের মুখ দেখেছে দ্বিতীয় ম্যাচেই। অন্যদিকে, প্রথম দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে বরুশিয়া পাঠিয়েছে ১০ বার বল। ইয়েলো শিবির শীর্ষে থাকলেও অলহোয়াইটদের অবস্থান পয়েন্ট টেবিলের ১৭ নম্বরে।
যদিও ওয়েম্বলির সেই ফাইনালের পর বদলে গেছে অনেক কিছু। টনি ক্রুসের অবসরে মিডফিল্ডে ধার কমেছে রিয়ালের। এমবাপের সাইনিংয়ে শক্তি বেড়েছে আক্রমণভাগের। অন্যদিকে, ফাইনাল হেরে কোচ পরিবর্তন ছাড়াও ফুলক্রুগ-রিউসরা এখন বরুশিয়ার অতীত।
দ্বিতীয় ম্যাচে হারার কারণে বেশ চাপে আছে রিয়াল। বরুশিয়ার কাছে পা হড়কানোর মানে, গ্রুপ পর্বের বাকি থাকা ম্যাচের সবগুলোই জিততে হবে। লিভারপুল-এসি মিলানের মতো কঠিন পরীক্ষা থাকায়, জার্মান জায়ান্টদের আরানোর বিকল্প দেখছেন না রিয়াল বস কার্লো আনচেলত্তি। তিনি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এই নতুন ফরম্যাটে পরের ম্যাচটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে লিলের কাছে হারের পর। আমি মনে করি, আমাদের জিততেই হবে।’
তবে রিয়ালের মাথাব্যথার কারণ আক্রমণ ভাগ। বিশেষ করে রাইট উইং দিয়ে বরাবরই ভুগছে অল হোয়াইটরা। মৌসুমের মাঝপথে এসে পরিকল্পনায় বদল আনছেন কার্লো। ফ্রন্টলাইনে বেলিংহ্যামকে আরো কার্যকর করতে পুরনো ৪-৪-২ এর ডায়মন্ড ফরমেশনে ফিরবেন ইতালিয়ান কোচ, ‘এ বছর লেফট উইংয়ে খেলোয়াড়ের আধিক্যের কারণ এমবাপে বাঁ পাশে খেলে এবং ভিনিসিউসের সঙ্গে ওর মানিয়ে নিতে হয়। ওই হিসেবে ডান পাশ ফাঁকা থাকা অনেক সময়। আমরা ভেবেছি, বেলিংহ্যাম আর রদ্রিগোকে নিয়ে এই পাশেও দলকে বেশ কার্যকর করবো, যেমনটা বাঁ পাশে আছে।’
তবে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে ট্রেনিং সেশন বাতিল করেছে বরুশিয়া। গুঞ্জন যে, স্পেনে ট্রেনিং করলে কৌশলগত পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাবে- এমনটাই ভয় ইয়েলো ব্রিগেডের। তবে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সে গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন রিয়ালের সাবেক ফুটবলার ও বর্তমানে ডর্টমুন্ডের কোচ নুরি শাহিন, ‘আমাদের গোপন করার কিছু নেই। আমি কেবলই খেলোয়াড়দের ঘরে থাকার একটু বেশি সময় বের করে দিয়েছি। কারণ আমাদের প্রতিপক্ষের মাঠে প্রচুর ম্যাচ খেলতে হবে।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৪ ম্যাচের মাত্র দুটিতে হেরেছে বরুশিয়া। তবে ইয়েলো ব্রিগেডের দুশ্চিন্তার নাম সান্তিয়াগো বার্নাব্যু। ৭ ম্যাচ খেলেও যেখানে কখনোই জিততে পারেনি জার্মান ক্লাবটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের একক কোন অ্যাওয়ে ভেন্যুতে প্রথম দল হিসেবে প্রথম ৮ ম্যাচে জয়বঞ্চিত থাকার রেকর্ড চোখ রাঙাচ্ছে দ্যা ইয়েলো ব্রিগেডকে।