রাজশাহী জেলা প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য ও আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন আব্দুল ওয়াদুদ দারা। ওই আসনে ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে ১০ বছর এমপি ছিলেন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই (পুঠিয়া- দূর্গাপুর) এলাকাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সরকারি, আধাসরকারী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, নিয়োগ বানিজ্য করে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে উঠেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারা।
এ ছাড়া সরকারি খাস পুকুর ইজারা, তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন, বিভিন্ন প্রকল্পের কমিশন আদায় তো ছিলই। তার নির্বাচনি এলাকায় উন্নয়ন করেননি। কিন্তু তার পরিবারের সব সদস্যের উন্নতি হয়েছে। পুঠিয়া উপজেলার বিড়ালদহ গ্রামে মাটির বাড়িতে তার বসবাস ছিল। বর্তমানে সেই বাড়ির স্থলে পাশাপাশি তিন ভাইয়ের জন্য তিনটি দোতালা বিলাস ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তার বাবা আওয়াল কাজী ছিলে বিয়ে রেজিস্ট্রার। দারা ২০০৯ সালে প্রথম যখন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি সাংসদ হওয়ার পূর্বে ছোট একটি গার্মেন্টস অংশীদার মালিক ছিলেন ২০০৯ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরে তিনি একাধিক গার্মেন্টস এর মালিক হয়ে উঠেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারা।
অনুসন্ধানে জানা যায় যে, সাবেক প্রতিমন্ত্রীর মেয়েকে যুক্তরাজ্যে রেখে লেখাপড়া করাচ্ছেন তার স্ত্রী ও সেখানে বসবাস করছেন সেখানেই তিনি ১ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এতো টাকা পাচার করলেও এখনো পর্যন্ত সাবেক প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনিয়মের দূর্নীতির তদন্ত শুরু হয়নি। যা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে (পুঠিয়া দুর্গাপুর) বাসীর মধ্য।
গত-৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে আত্নগোপন চলে যান সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারা,