ডেস্ক নিউজ
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে হামলার পর সীমান্ত এলাকায় যে কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি রোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
মঙ্গলবার বিজিবি সদরদপ্তর এক বার্তায় এ তথ্য জানায়। বার্তায় বলা হয়, ‘সীমান্তে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি কিংবা অপতৎপরতা রোধে বিজিবি সম্পূর্ণ প্রস্তুত ও সতর্ক রয়েছে।’
সোমবার দুপুরের দিকে কিছু বিক্ষোভকারী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়ে হামলা চালায়। তারা সেখানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলে। পরে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।
বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর নিন্দা জানিয়ে ওই বিক্ষোভ হওয়ার কথা বলা হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে।
ঘটনার পর দুঃখ প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তি দেয় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অপরদিকে হামলার ঘটনাকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ অভিহিত করে ভারতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ’নিষ্ক্রিয়তার’ অভিযোগ তোলে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
সংবাদমাধ্যমে হামলার খবর আসার পর সোমবার সন্ধ্যায় সাম্প্রদায়িক উস্কানির অভিযোগ তুলে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য জেলাতেও বিক্ষোভ হয়েছে।
এদিকে, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে হামলার পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় হাইকমিশন ও সহকারী হাই কমিশনগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।
একই সঙ্গে সবশেষ পরিস্থিতির বিষয়ে খোঁজখবর রাখতে হাই কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করার কথা জানিয়েছেন পুলিশের এক কর্মকর্তা।
পুলিশ বলছে, গুলশানে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশন ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট ও খুলনায় ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনে ব্যাপক নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।
গুলশান বিভাগের পুলিশের উপ-কমিশনার তারেক মাহমুদ বলেছেন, গুলশানে ভারতীয় হাই কমিশন ঘিরে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ।
গত ২৫ নভেম্বর চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রামের আদালত পাড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। ওই দিনই তার জামিন না হওয়ায় এই উত্তেজনা বাড়ে এবং সহিংসতায় রূপ নিলে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে একজন আইনজীবী খুন হন।