বরেন্দ্র বার্তা-২৪ ডেস্ক:
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। দখল, চাঁদাবাজির নানান অভিযোগের পর এবার ইসলামী ব্যাংক দখলেরও চেষ্টা করেছেন তিনি। মাগুরার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও মাত্র কয়েকদিনে দখল আর চাঁদাবাজি করে কয়েক কোটি টাকা কামিয়েছেন নয়ন। এর ফলে দলের মধ্যে নানান বিতর্ক চলছে তাকে ঘিরে। দৈনিক সমকালের সূত্র থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গণমাধ্যমটিতে আরও বলা হয়, অভিযোগ রয়েছে যে এস আলম গ্রুপের হয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে নয়ন ও তার অনুসারীরা এই ব্যাংক দখলে ভাড়াটে হিসেবে কাজ করে। ব্যাংক দখলে তিনি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেন। এসময় ৬ ব্যাংক কর্মকর্তা তার ছোড়া গুলিতে আহত হন। এর আগে তার বিরুদ্ধে একটি বেসরকারি টেলিভিশন দখলচেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। টিভির মালিকানা নিয়ে ঝামেলা থাকায় একটি পক্ষকে সমর্থন জানিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দলটির নেতা-কর্মীরা জানান, সরকার বিরোধী আন্দোলনে তার বিতর্কিত ভূমিকার কারণে বিভিন্ন সময় সংবাদের শিরোনাম হন যুবদল নেতা নয়ন। সাংবাদিক না হয়েও প্রেস লেখা জ্যাকেট পড়ে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুরো দলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেন তিনি। আর এসব ঘটনাকে পুঁজি করে লেখাপড়ার ন্যূনতম যোগ্যতা না থাকলেও তিনি সবসময়ে সংগঠনের বড় বড় পদে আসীন হয়েছেন। দলের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা সবসময়ে তার অপরাধকে মৌন সমর্থন দিয়ে আসছেন বলে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে নেতা-কর্মীদের অভিযোগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবদলের একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানান, বিএনপির প্রভাবশালী দুই নেতা এবং যুবদলের একজন কেন্দ্রীয় নেতার সমর্থনে রবিউল ইসলাম নয়ন পুরো দলকে ডোবাবে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর একটু মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ আসলেও নয়নদের এ রকম কর্মকাণ্ডের কারণে তা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তবে এ বিষয়ে রবিউল ইসলাম নয়নকে ফোন দেওয়া হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘একটি বেসরকারি টেলিভিশনে নয়ন গিয়েছিল সেটা জানি। তবে লেনদেন করেছে কিনা জানি না। ইসলামী ব্যাংকের সামনে গোলাগুলির ঘটনা শুনেছি। সেখানে নয়ন ছিলে কিনা তা আগে আমার জানতে হবে। তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’