সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীসহ-৫৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ডেস্ক নিউজ:

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয় মিছিলে গুলিতে নিহত স্কুল শিক্ষার্থী মো. মারুফ মিয়াকে হত্যার অভিযোগে সাবেক কৃষিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ও সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার রাতে মারুফের মা মোছা. মোর্শেদা বাদী হয়ে ৫৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে সদর থানায় এ মামলা করেন। সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন-টাঙ্গাইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, টাঙ্গাইল-৪ আসনের সাবেক এমপি হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল-৭ আসনের সাবেক এমপি খান আহমেদ শুভ, টাঙ্গাইল-৮ আসনের সাবেক এমপি অনুপম শাহজাহান জয়, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি খন্দকার আশরাফউজ্জামান স্মৃতি, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন ও সাইফুজ্জামান সোহেল, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ফারুক, দপ্তর সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম, উপ-দপ্তর সম্পাদক আনন্দ মোহন দেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশিদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন মানিক, সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন তোফা, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ রৌফ, সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনি, জেলা যুবলীগের সভাপতি মাসুদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইম তালুকদার বিপ্লব, কাউন্সিলর তানভীর ফেরদৌস নোমান, কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা আতিকুর রহমান মোরশেদ, কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান স্বপন, কাউন্সিলর কামরুজ্জামান মামুন, কাউন্সিলর আমিনুর রহমান আমিন, কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদশা, কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান প্রিন্স, ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ, শীর্ষ সন্ত্রাসী আতিকুর রহমান রনি (কোয়ার্টার রনি), ক্যাম্প সোহেল, ডন সোহেল উল্লেখযোগ্য।

মামলা সূত্রে জানা যায়, কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট দুপুরে পদত্যাগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে করেন। বিকালে ছাত্র-জনতার উপস্থিতিতে বিজয় মিছিল বের হলে সেখানে মারুফ মিয়াও অংশ নেন। এক পর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে বিজয় মিছিলটি শহরের মেইন রোড এলাকায় পৌঁছলে মিছিলটি পণ্ড করার জন্য অভিযুক্তরা রাইফেল, পিস্তল, শর্টগান ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।

এক পর্যায়ে মারুফ সিটি ব্যাংকের দ্বিতীয় তলায় আশ্রয় নিলে অভিযুক্তদের মধ্যে কেউ একজন শর্টগান দিয়ে মারুফকে গুলি করে। বিজয় মিছিলের ছাত্র-জনতা মারুফকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন, নিহত স্কুল শিক্ষার্থীর মা মোছা. মোর্শেদা বাদী হয়ে ৫৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *