বরেন্দ্র বার্তা-২৪ ডেস্ক:
রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ভারত সীমান্তবর্তী বাঁধ গুলো খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, লক্ষীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-সহ পূর্বাঞ্চলের প্রায় ১০ টি জেলায় ২ কোটিরও উপরে মানুষ পানিবন্দী। এসব এলাকায় এক ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে হটাৎ এই বন্যায়।
ভারতের এমন আচরণে গণঅধিকার পরিষদ ভারত সরকারকে ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। এ ছাড়া ৬দফা দাবিও তারা তুলে ধরেছে।
আজ বৃহস্পতিবার গণঅধিকার পরিষদ ও ছাত্র-জনতা ❝মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন❞ কর্মসূচি পালন করেছে। গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক কর্নেল অবঃ মিয়া মশিউজ্জামান ও সদস্য সচিব ফারুক হাসানের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার কর্মসূচিটি বাড্ডা থেকে শুরু হয়ে ভারতীয় হাইকমিশন বরাবর যায়। কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান, শেখ খায়রুল কবির, সাকিব হোসাইন, শফিকুল ইসলাম রতন-সহ সহস্রাধিক নেতাকর্মী।
ভারতের হাইকমিশনের সামনে থেকে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল হাইকমিশনে যান এবং ৬ দফা বার্তা ভারতীয় হাইকমিশনের এটাচি কাউন্সিলর দেবব্রত চক্রবর্তীর হাতে হস্তান্তর করেন।
ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে গণঅধিকার পরিষদের ৬ দফাঃ
১। ২৪ ঘন্টার মধ্যে বাংলাদেশ অভিমূখে খোলা সব গুলো বাধ বন্ধ করতে হবে ও আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুযায়ী ন্যায্যতার ভিত্তিতে দুই দেশের পানির বন্টন নিশ্চিত করতে হবে।
২। বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার মধ্যে প্রবাহিত ৫৪ টি আন্তর্জাতিক নদীতে আন্তর্জাতিক পানি আইনের কোন ক্ষমতাবলে ভারত বাধ দিয়েছে তার সুস্পস্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।
৩। বাংলাদেশের সীমান্তে হত্যার ব্যাপারে সতর্ক করা হচ্ছে। ভবিষ্যৎ এমন হত্যাকান্ডের জন্য সৃষ্ট অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির দায় ভারতকে নিতে হবে।
৪। গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত বাংলাদেশে পরিচালিত গণহত্যাকে সমর্থন দিয়েছে বলে বাংলাদেশের জনগণ মনে করে। অতি দ্রুত সময়ে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে হবে।
৫। বাংলাদেশের জনগণের চাওয়াকে পাশ কাটিয়ে বাঁধ গুলো খোলা রাখলে ইন্ডিয়ার মানবতাবিরোধী আচরণ ও আন্ত:রাষ্ট্রীয় আচরণ বহির্ভূত কর্মকান্ডের জন্য জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথে ভারতের সদস্যপদ কেন স্থগিত হবে না তা উক্ত সংগঠন গুলোর কাছে জানতে চাইবে বাংলাদেশের জনগণ।
৬। উপরোক্ত বিষয়গুলোর সুরাহা না হলে নির্দিষ্ট সময় পর বাংলাদেশ সরকারকে ইন্ডিয়ার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করাতে বাধ্য করবে বাংলাদেশের জনগণ।