বরেন্দ্র বার্তা-২৪ ডেস্ক:
গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীর গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী (দিদার) নিহত হয়েছেন। বিএনপির অভিযোগ, আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছেন। ঘটনায় সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে এই হামলা ঘটে। এ সময় অন্তত ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার পথে এই ঘটনা ঘটে। শওকত আলীর লাশ পাথালিয়া বাংলালিংক টাওয়ারের পাশ থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত শওকত আলী ঢাকায় ক্রিকেট আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, তাঁর স্ত্রী ও গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা (রত্না), রাজু বিশ্বাস, মাহাবুব খান, লিন্টু মন্সীসহ আরও অনেকে। আহতদের মধ্যে ১৬ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিকদার শহিদুল ইসলাম জানান, বেদগ্রাম মোড়ে শান্তিপূর্ণ পথসভা শেষে টুঙ্গিপাড়ায় কবর জিয়ারতে যাওয়ার সময় এই হামলা হয়। হামলার নেতৃত্ব দেন গোপালগঞ্জ পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমিন মোল্লা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জিকরুল ফকিরসহ কয়েকজন।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ নেতা আলিমুজ্জামান বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা গাড়িবহর নিয়ে যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং বাধা দিলে তাঁদের ওপর হামলা হয়। তিনি নিজেও এই হামলায় আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান অভিযোগ করেন, পথসভা শেষে টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দুই থেকে তিন শ নেতা-কর্মী দেশি অস্ত্র নিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।