বরেন্দ্র বার্তা-২৪ ডেস্ক:
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে এ পর্যন্ত ৮৭৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৫২ জনের পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে। সনাক্তকারিদের মধ্যে ১৮৪ জনই শিক্ষার্থী। যা মোট নিহতের সংখ্যার ৫২ শতাংশ। শুক্রবার মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, ১২ টি জাতীয় দৈনিক, এইচআরএসএসের তথ্য অনুসন্ধানী ইউনিট ও সারাদেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি গনঅভ্যুত্থানে নিহতদের বিষয়ে পর্যালোচনা রিপোর্ট তৈরি করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮৭৫ জনের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছি। এর মধ্যে ৭৪৩ জনের নাম জানা গেলেও ১৩২ জনের নাম জানা সম্ভব হয়নি।
নিহতের মধ্যে অন্য পেশাজীবীরা হলেন, শ্রমজীবী ৭০ জন, যা মোট সংখ্যার ২০ শতাংশ, আইন শৃংখলা বাহিনীর ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ৫১ জন। সাংবাদিক রয়েছেন ৬ জন, এবং অন্যান্য পেশার রয়েছেন ৪১ জন। সংগঠনটি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে শিক্ষার্থী ও শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা ৭২ শতাংশ এর বেশি।
গুলিতে মারা গেছেন ৭৭ শতাংশ
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মোট ৭৭২ জনের মৃত্যুর ধরণ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৭ শতাংশ অর্থাৎ ৫৯৯ জন গুলিতে, ৬১ জন বা ৮ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ, ৮৫ জন বা ১১ শতাংশকে পিটিয়ে এবং অন্যান্য কারণে মারা গিয়েছেন ২৭ জন।
পুলিশের হাতে সবচেয়ে বেশি নিহত
গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে পুলিশ, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়া ছাত্র জনতার গণপিটুনিতেও নিহত হওয়ার ঘটনা রয়েছে। এসব বিষয়ে ৫৪১ জনের তথ্য পাওয়া গিয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, শুধুমাত্র পুলিশের হামলায় ৪১৯ জন, অন্যান্য আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর হাতে ৪৫ জন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে ৪৪ জন, এবং গণপিটুনিতে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন।
সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে ঢাকা বিভাগে
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, নিহত ৮৭৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫৪০ জন, চট্টগ্রাম ৯১ জন, খুলনায় ৮১ জন, রাজশাহীতে ৬৪ জন, ময়মনসিংহে ৩৮ জন, রংপুরে ২৯ জন, সিলেটে ২০ জন এবং বরিশালের আছেন ১৩ জন। নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গিয়েছেন ঢাকা বিভাগে ৫৪০ জন ও সবচেয়ে কম মারা গিয়েছেন বরিশাল বিভাগে ১৩ জন।