নিজস্ব প্রতিবেদক
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের বর্তমান পরিস্থিতি ও দেশের সার্বিক অবস্থা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিগত ১৫ বছরে হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন, গণতন্ত্র ধ্বংস, ভোটাধিকার হরণ, দুর্নীতি, লুটপাট এবং অর্থপাচারের কারণে দেশ চরম সংকটে পড়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ১৫ বছরের হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন, গণতন্ত্র ধ্বংস, ভোট অধিকার হরণ, দুর্নীতি, লুটপাট, লাখ লাখ কোটি টাকা অর্থ পাচার এবং গণহত্যার পরও ক্ষমা না চেয়ে, বরং বিদেশ থেকে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হচ্ছে। তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, এর জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই দায়ী, আওয়ামী লীগের এই অবস্থার জন্য তিনিই দায়ী, বাংলাদেশের দুরবস্থার জন্য তিনিই দায়ী।
সোহেল তাজ আরও বলেন, যারা গুম, খুন, নির্যাতন, দুর্নীতি ও গণতন্ত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত, তাদের কোনো সমর্থন নেই এবং তিনি তাদের প্রশংসা করার প্রয়োজনও মনে করেন না। তিনি আওয়ামী লীগের ব্রেইন ওয়াশড সমর্থকদের তার ফেসবুক পেজ আনফলো করার আহ্বান জানান এবং অনুরোধ করেন যেন সবাই আত্মউপলব্ধি ও আত্মসমালোচনা করে অনুশোচনা করেন।
সোহেল তাজের এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে এই মন্তব্য নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ তার বক্তব্যকে বাস্তবতার প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকেই এটাকে ব্যক্তিগত ক্ষোভ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। তবে কয়েক মাস পরই তিনি পদত্যাগ করেন এবং এরপর থেকে সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে আছেন। বিভিন্ন সময় তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দলীয় নীতির সমালোচনা করেছেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।