নিজস্ব প্রতিবেদক
সারাদেশে অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আজ রাত থেকে যৌথ বাহিনী শুরু করতে যাচ্ছে বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। এই অভিযানে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করবে এবং দেশব্যাপী সক্রিয় অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
সূত্র জানিয়েছে, বিশেষ করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, মাদক চোরাচালান, চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার এবং সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে জোর দেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে এবং অভিযানকে সফল করতে অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করবে।
একজন শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “সাম্প্রতিক সময়ে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অপরাধী যেই হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।”
অভিযানের প্রথম ধাপে দেশের বড় শহর ও অপরাধপ্রবণ এলাকায় বিশেষ টার্গেটেড অভিযান চালানো হবে, এরপর ধীরে ধীরে এটি সারাদেশে বিস্তৃত করা হবে। ইতোমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অপরাধীদের তালিকা প্রস্তুত করেছে, যার ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তবে নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত না হয়, সেদিকেও প্রশাসন বিশেষ নজর রাখছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এই অভিযান চলাকালীন সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি ও গ্রেপ্তার করা হবে, তবে নিরপরাধ ব্যক্তিরা হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।