ডেস্ক নিউজ
সারাদেশে একযোগে ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপসারণ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এছাড়া ৩২৩টি পৌরসভার মেয়রকেও অপসারণ করা হয়েছে।
আওয়ামী সরকারের আমলে নির্বাচিত এসব উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রকে অপসারণ করে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপসারণের বিষয় জানিয়ে রোববার (১৮ আগস্ট) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এতদ্বারা উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ধারা ১৩(ঘ) প্রয়োগ করে বাংলাদেশের ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যানদের স্ব স্ব পদ হতে অপসারণ করা হলো। অপসারণকৃত উপজেলা চেয়ারম্যানদের স্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) দায়িত্ব পালন করবেন।
একইদিন উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত আরেক প্রজ্ঞাপনে ৩২৩ পৌরসভার মেয়রকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ধারা ৩২ (ক) প্রয়োগ করে বাংলাদেশের নিম্নবর্ণিত পৌরসভার মেয়রগণকে স্ব স্ব পদ হতে অপসারণ করা হলো।
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের পর স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অধিকাংশই আত্মগোপনে চলে যান। জেলা ও উপজেলা পরিষদ থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার প্রায় সব শীর্ষ পদই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দখলে ছিল। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল। পরে বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইন সংশোধন করে মেয়র-চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ তৈরি করে সরকার।
গত শুক্রবার ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। পরে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়।
ওই সংশোধনীর ফলে বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একইসঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার