জমি দখলের অভিযোগ, পাল্টা সংবাদ সম্মেলন পাইলটের

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন জাহাঙ্গীর আলম ও শাহিনুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি। বিকালে একই স্থানে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে পাইলট দাবি করেন, সব অভিযোগ মিথ্যা। জমি কেনার পর জাহাঙ্গীর আলম তাকে হয়রানি করছেন বলেও অভিযোগ করেন পাইলট।

জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার চকনারায়ণপুর গ্রামে ক্রিকেটার পাইলটের বাগানবাড়ি রয়েছে। এর সামনের অংশের জায়গাটি গত বছর পাইলট কিনেছেন বলে দাবি করছেন। সেখানে তিনি আমগাছ লাগিয়েছেন। তবে জাহাঙ্গীর আলম দাবি করছেন, এ জমির মালিক তারা ১১ জন। জমিটি শাহিনুর রহমানের বোন নাসরিন সুলতানার কাছে বিক্রি করা হয়েছে।

সকালে সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত ১১ এপ্রিল তাদের ১১ জনের প্রায় ২ বিঘা জমি নাসরিনের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। পাইলট জোরপূর্বক জায়গাটি ঘিরে রেখেছেন। জমিতে গেলে তিনি ফোন করে হুমকি দেন পুলিশ ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দিয়ে হয়রানি করার। জাহাঙ্গীর দাবি করেন, পাইলট ভুয়া দলিল বানিয়ে জমিটি দখলের অপচেষ্টা করছেন।

বিকালে নিজের আইনজীবী ও দলিল লেখককে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন খালেদ মাসুদ পাইলট। সেখানে তিনি দাবি করেন, এ জমি ২০২৩ সালেই তিনি কিনেছেন। কেনার আগে ভূমি অফিসে কাগজপত্র যাচাই করেছেন। এখন জাহাঙ্গীর আলমসহ ১১ জন যে জমি নাসরিনের কাছে বিক্রির দাবি তুলছেন, সেই জমি তাদের দলিলে নেই। জাহাঙ্গীর আলম সরাসরি জমির মালিক না হওয়া সত্ত্বেও অন্যান্য শরিক ও ক্রেতাদের হয়রানি করছেন।

পাইলট বলেন, জাহাঙ্গীর আলম জমির দাবিতে আদালতে মামলা করেছিলেন। তিনি দুইদিন আদালতে হাজির হয়েছেন। কিন্তু জাহাঙ্গীর আদালতে যাননি। তিনি ভেবেছেন, একটু ঝামেলা করলে খেলোয়াড় মানুষ ঝামেলায় আসবে না। জমি ছেড়ে দেবে। তারা দখলে নেবে।

পাইলট আরো বলেন, ‘আমি কারও জমি জোর করে দখলে নেব না। আমি টাকা দিয়ে কিনেছি। তারপরেও আদালতে যদি প্রমাণ হয় এই জমি অন্য কারও তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আমি জমি ছেড়ে দেব। কিন্তু খেলোয়াড় বলে যে আইনি লড়াই না চালিয়েই জমি ছেড়ে দেব তা হবে না।

ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে পাইলট বলেন, জমিটা যে মালিকের ছিল, তিনি তা ভোগদখল করতেন। সরাসরি তার কাছ থেকে আমি জমি কিনে সেখানে আমগাছ লাগিয়েছি। কিন্তু তারা আমার বেড়া ভেঙে দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের রাগ হবে। আমি বলেছি, এসব করলে দেশে পুলিশ-প্রশাসন আছে। আমি আইনের আশ্রয় নেব। এটা অন্যায় না।

পাইলট মনে করছেন, সামনে তার বিসিবিতে যাওয়ার বিষয়ে কথাবার্তা উঠেছে। তাই তাকে বিতর্কিত করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কোনো একটি গোষ্ঠী জাহাঙ্গীরকে দিয়ে এসব করাচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *